বাংলাদেশ একটি মারাত্মক রোহিঙ্গা ত্রাণ সংকট ঠেকাতে তৎকালীন কর্ম গ্রহণের আহ্বান জানালো
স্বল্প পরিসংখ্যান ও প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জানা গেছে:
-
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট ধ্বংসাত্মক সাপেক্ষে পৌঁছতে পারে কারণ আন্তর্জাতিক সাহায্য ক্রমেই কমে যাচ্ছে। Reuters
-
বাংলাদেশ বর্তমানে প্রায় ১৩ লক্ষ রোহিঙ্গা আশ্রয় দিচ্ছে, যারা মূলত মিয়ানমারের (রাখাইন রাজ্য) ২০১৭ সালের সামরিক নিপীড়নের পর পালিয়ে এসেছিলেন। Reuters
-
কক্সবাজারের শিবিরগুলোতে মানুষ বাস করছে অতিরিক্ত চাপের মধ্যে, বাঁশ-ছাউনি ঘরগুলোতে, এবং তারা মুখোমুখি হচ্ছেন খাদ্য সহায়তা কমে যাওয়া, স্কুল বন্ধ থাকা, এবং বাড়ি ফিরবার কোনো দৃশ্যমান সুযোগ না থাকা প্রভৃতি সমস্যা। Reuters
-
ইউনুস সতর্ক করেছিলেন যে, খাদ্য রেশন খুব শিগগিরই প্রতিজন রোহিঙ্গার জন্য প্রতি দিনে মাত্র ৬ ডলার এ নেমে আসতে পারে, যা তাদের আর্থ সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। Reuters
-
তিনি আরও বলেন, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের প্রতি নিপীড়ন এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং বিরাজ করছে দলবন্দি বৈষম্য ও নাগরিক অধিকারহীনতা। তাদের আইনি ও নাগরিক স্বীকৃতি ও অধিকার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক সমাধান দ্রুত প্রয়োজন। Reuters
-
বাংলাদেশ এই সংকট মোকাবেলায় সার্বভৌম সমাধানের অংশ হিসেবে কঠোর সময়সীমাবদ্ধ কর্মপন্থা গ্রহণের পক্ষপাতী। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে বৈশ্বিক অর্থায়ন বাড়ানোর ও একটি পরিষ্কার রোডম্যাপ গ্রহণ করার আশা করা হচ্ছে। Reuters