ইন্দোনেশিয়ায় ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল ধসে অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল ১৩ বছরের কিশোর

 

ইন্দোনেশিয়ায় ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল ধসে অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল ১৩ বছরের কিশোর











ইন্দোনেশিয়ার সিদোর্জোর আল-খোজিনী ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল ধসে পড়ে পাঁচজন নিহত ও কমপক্ষে ৬০ জন নিখোঁজ ছিল। ভয়াবহ এই ঘটনার সময় ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকা পড়েছিল ১৩ বছর বয়সী হাইকাল রাকাদিত্য। তিন দিন পরে অর্থাৎ প্রায় ৭২ ঘণ্টা পর, উদ্ধারকারীরা তাকে জীবিত বের করতে সক্ষম হন।

রাকাদিত্যর মা দেওই আজেং দুর্ঘটনার সময় বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তিনি সিদোর্জো যান। সেখানে গিয়ে ছেলেকে পাগলের মতো খুঁজতে থাকেন। ছেলেকে না পেয়ে তিনি শান্ত থাকার চেষ্টা করেছিলেন

‘আমি আমার ছেলেকে ডাকতে থাকি, সে প্রার্থনা করছিল এবং অন্যদেরও শান্ত থাকার জন্য উৎসাহ দিচ্ছিলাম,’ জানান দেওই।

হাইকাল ও তার বন্ধুরা ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকা পড়েছিল এবং বের হওয়া পথ বন্ধ ছিল। উদ্ধার কাজের এক পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা ধ্বংসাবশেষের মধ্যে একটি শ্যাফট তৈরি করে আটকা পড়া ছাত্রদের কাছে খাবার ও পানি পাঠান। প্রায় তিন দিন পর, হাইকালকে উদ্ধার করা হয় এবং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানএ চিকিৎসকরা তার পায়ের চিকিৎসা করছেন।

হাইকালকে বাঁচানোর পিছনে তার ধৈর্য, স্কুলে শেখা জরুরি পরিস্থিতিতে শক্তি সংরক্ষণ ও সৃজনশীল মনোভাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তার মা জানান, তার ছেলে ঈশ্বরের কোন অলৌকিক কাজের কারণের বেঁচে গিয়েছে।

সূত্র: আল জাজিরা।











Post a Comment

Previous Post Next Post